গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্থে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন। (ভাব সম্প্রসারণ কর)

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago

মূলভাব

মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যা মানুষ আত্মস্থ না করলে তা যেমন অর্থহীন, তদ্রপ সম্পদ নিজের করায়ত্তে না থাকলে তাও নিরর্থক।

সম্প্রসারিত ভাব

বিদ্যা ও ধন মানবজীবনের অতি প্রয়ােজনীয় অমূল্য সম্পদ। সাধনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষকে এগুলাে অর্জন করতে হয়। বিদ্যা মানুষের অজ্ঞানতা দূর করে, শাশ্বত সুন্দরের পথ নির্দেশ করে, ব্যক্তিকে করে তােলে আত্মনির্ভরশীল, সংযমী ও আদর্শবান।। কিন্তু বিদ্যা যদি অর্জিত না হয়ে গ্রন্থের ভেতরেই মলাটবদ্ধ হয়ে নির্জীব পড়ে থাকে, তবে সে বিদ্যা মূলত বিদ্যাই নয়। অনুরূপভাবে নিজের অর্জিত ধন-সম্পদ যদি অন্যের কাছে রক্ষিত থাকে, তাহলে তাও সময় মতাে, প্রয়ােজন মতাে কাজে লাগানাে যায় না।

গ্রন্থের মধ্যে সঞ্জিত জ্ঞানকে আয়ত্ত করে, নিজের কল্যাণে নিয়ােগ করে জীবনকে সুন্দর ও গতিশীল করার পাশাপাশি সমাজ ও দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করতে পারাই হচ্ছে বিদ্যাচর্চার সার্থকতা। কেননা কঠিন পরিশ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার দ্বারা ধন-সম্পদ অর্জন করে নিজের কল্যাণ ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কাজে না লাগাতে পারলে সে সম্পদ অর্জনের প্রয়ােজনীয়তাই বা কী? ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, “A bird in hand is worth two in the bush.” তাই গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরের হাতে ধন রেখে তার গৌরবে গৌরবান্বিত হওয়া নিরর্থক। বিদ্যাকে গ্রন্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে মনে না করে বিদ্যানুশীলনের মাধ্যমে আমাদের আত্মমুক্তির পথ খুঁজতে হবে। মানুষের মঙ্গলার্থে অর্জিত বিদ্যা ও ধন-সম্পদের ব্যবহারে সমর্থ হতে হবে। 

মন্তব্য

গ্রন্থগত বিদ্যা এবং পরের হাতে রক্ষিত ধন অব্যবহৃত থাকে বলেই এগুলাে বিদ্যা বা ধন নয়। এগুলােকে নিজের সম্পদ হিসেবে অর্জন করার মধ্যেই সার্থকতা ও স্বকীয়তা বিদ্যমান।

1 year ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content

Related Question

View More